(একই সাথে আড্ডায় প্রকাশিত)
আশেপাশে আবর্জনা পরিস্কার করা কতোটা জরুরী তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। যারা নর্দমার গন্ধ ও পচা পানির গর্ত এড়িয়ে সাবধানে পা ফেলে রাস্তা পার হতে চান তা যে আজকাল কতোটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে সেটা বোদ্ধা নাগরিকরা হাঁড়ে হাঁড়ে টের করতে পারছেন। একটু আগে অ:র:পি:র লেখা ক্যামনে কি! ক্যান!!! হ্যান ত্যান ফ্যান পড়ে মনে হলো আমাদের নাগরিক জীবনে আবর্জনা পরিস্কার কতোটা জরুরী হয়ে পড়েছে। তার ধারালো কথার এরোসোলে আবর্জনা আর পোকা মাকড়ের দৌরাতত লাঘব না হয়ে তাদের গুণগুণানি আরও বাড়বে তা আমি জানতাম।
এই প্রশ্নটা শুধু আমার একান্তে মনে আসে না আরও অনেকের ভাবনার মধ্যে এই প্রশ্নটা বারবার ঘুরপাক খায়, স্বাধীনতার ছত্রিশ বছর পর পাকীদের পা চাটা রাজকার জামাতী পোকা মাকড়দের প্রভাব প্রতিপততির পরিসীমা কতোটা? তাদের প্রভাবের ব্যাপ্তি যতোটুকুই হোক না কেন নাগরিক জীবনে আমরা ঠিকই বুঝি ফুটপাথে পড়ে থাকা এক পীস মলের বদবুর ব্যাপ্তি কতোটা বেশী। নাগরিক জীবন থেকে ব্লগীয় জীবন যে খুব একটা আলাদা না তা সবাই জানে। তাই এখানকার ভার্চুয়াল বদবুটা একটু বেশী প্রখর, একটু বেশী নজর কাড়ে।
তাই হাসান মোরশেদ যখন আবর্জনা কোয়ারেন্টাইন করে সতকার করার কথা বলেন তা খুব যুক্তিযুক্ত মনে হলেও ভাবি তার শুরুটা কিভাবে হবে? উততরটা সহজ। এটা একটা নাগরিক দায়িত্ব। যেমন মিউনিসিপ্যালিটি বিজ্ঞাপন দিয়ে বারবার বলে আপনার বাসার চারপাশের আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন রাখুন তেমন এই সমাজ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে উতখাত করতে হলে নিজের নিজের বাসা থেকেই শুরু করতে হবে।
তবে কাজটা মোটেও সহজ না। আবর্জনা কিন্তু একটা বাই প্রোডাক্ট। একে অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। সৌদী আরব আর পাকিস্তানে মৌলবাদী জঙ্গীরা গত ক'দিন ধরে খবরের শিরোনাম হয়েছে। বাংলা ভাইয়ের সহচররা এখনও ধরা পড়ছে। কিন্তু কেউ কি একবারও ভেবে দেখেছেন মৌলবাদী রাজনীতিকে আশ্রয় সাশ্রয় দিলে জঙ্গীদের উতথান হবে, বিস্তৃতি ঘটবে। তারা নোংরা ছড়াবে। বদবু ছড়াবে। তাই দরকার আবদ্ধ আবহাওয়ার অবসান। সৌদী আর পাকিস্তানে যেমন দরকার গণতন্ত্রের আগমন। তেমনি বাংলাদেশেও দরকার গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিস্তৃতি আর ঐক্য। না হলে এই দুর্গন্ধের মধ্যেই পার করতে হবে নাগরিক জীবন। তা বাস্তব হোক আর ভার্চুয়াল হোক সেই প্রশ্নটা তেমন জরুরী না।
Monday, April 30, 2007
Friday, April 20, 2007
মিডিয়া কাভারেজ:০৪২১
বাংলাদেশে রাজনীতিতে এখন নতুন হাওয়া চলছে। এখন চলছে নিষেধাজ্ঞার আয়োজন। আজকের ভিওএ ও বিবিসি'র নিউজ কাভারেজগুলো আপনাদের জন্য তুলে দেওয়া হলো।
ভিওএ'র সকালের খবরে শেখ হাসিনার দু'টো সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়।
বিবিসির প্রভাতী অনুষ্ঠানে ড: কামাল সাক্ষাতকার প্রদান করেন।
বিবিসির প্রভাতী অনুষ্ঠানে আজকের সংবাদ পত্রের কাভারেজ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভিওএ'র সকালের খবরে শেখ হাসিনার দু'টো সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়।
Hasina-voa-0420.mp... |
বিবিসির প্রভাতী অনুষ্ঠানে ড: কামাল সাক্ষাতকার প্রদান করেন।
Politics-BD-BBC-04... |
বিবিসির প্রভাতী অনুষ্ঠানে আজকের সংবাদ পত্রের কাভারেজ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
Politics-analysis-... |
Thursday, April 19, 2007
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের রাজনীতি যে আবারও অনিশ্চয়তার দিকে পা বাড়িয়েছে তা আলাদা করে বলার কোন প্রয়োজন নেই। বর্তমানে দুই নেত্রীকে দেশ থেকে বাইরে রাখার আয়োজন মোটেও কোন শুভলক্ষণ নয়। এদেশের জনগণ সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহন ও নিয়ন্ত্রণকে কোনভাবেই গ্রহণ করবে না। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। এ পর্যায়ে আড্ডা পাতা বিদেশী মিডিয়ার কাভারেজগুলো পাঠকদের জন্য তুলে দিল।
বিবিসিতে এক সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা বলেন:
Hasina-BBC-0418.mp... |
ভিওএকে হাসিনার সাক্ষাতকার:
hasina-voa-0419.mp... |
জার্মান রেডিওকে হাসিনার সাক্ষাতকার:
Hasina-DW-0418.mp3 |
বিবিসির বিশ্লেষণ:
abdul gaffar-bbc-0... |
ভিওএর বিশ্লেষণ:
Analysis-VOA-0419.... |
Wednesday, April 18, 2007
বিবেক বিক্রির বিজ্ঞাপন:
বাংলাদেশের রাজনীতির পালে খুব শীঘ্রি হাওয়া কি লাগছে? মনে হয় না। রাজনীতির মারপ্যাঁচ সত্যি বড্ডো জটিল। কখন যে কোনদিকে বাতাস লাগবে তা আচঁ করা সত্যি দুরুহ। এদেশে মিডিয়া সুর বদলায় খুব দ্রুত । নতুন আর কি? আমাদের চোখ অভ্যস্ত। হঠাত আমার এক বান্ধবীর বাবার কথা মনে পড়ল। ভদ্রলোক পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। সেটাই তার জন্য কাল হয়েছিল। সামরিক প্রশাসক জিয়ার সময় তাকে জেলে পুরে রাখা হয়েছিল। কোন বিচার হয়নি। লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি নেননি। তিন বছর বিনা বিচারে জেলের পানি খেয়ে বাড়ী ফিরেন। স্বৈরতন্ত্র একেক সময় একেক রুপে আসে। এরশাদও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ করতে এসেছিলেন। তারপর কি হয়েছে তা নতুন করে বলার দরকার নেই। আজকে জেবতিক আরিফের লেখাটা মনে করিয়ে দিলো কি চমতকারভাবে এদেশে মিডিয়া সুর বদলায়। তোষামোদকারী চাটুকারের দল চিরকালই মেরুদন্ডহীন হয়ে থাকে।
সেইদিন এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে দেখা। জিগ্যেস করলাম, কি আসছে না কি? বলল, সরাসরি তো আসবে না। কিন্তু সোজা আঙ্গুল দিয়ে কি ঘি উঠে? কিন্ত বাঁকা করলেই তো সবাই বুঝে ফেলবে। তবে গত ১৬ বছরে দেশে একটা গুনগত পরিবর্তন হয়েছে। লোকজনকে বারবার বোকা বানানো সম্ভব না। আর আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি তুলতে গেলে বাইরের দুনিয়ার লোভনীয় ঘিয়ের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন একজন সাংবাদিক উপকথার নায়কের মতো স্মরণীয় হয়ে আছেন। অসম্ভব সাহসিকতার সাথে তিনি রিপোর্ট করতেন। স্মরণ করি সাহসী সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দীনকে। সময়ের টানে সবকিছু নস্টদের হাতে গেলেও সবাই কিন্তু বিবেক বিকিয়ে দিবে না। সময় যে অনেক বদলে গেছে। এটা ভুলে গেলে বড্ডো বোকামী হয়ে যাবে। সংবাদ ও যোগাযোগ মাধ্যমে যে অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে তা মনে রাখা খুব জরুরী।
একই সাথে আড্ডা আর দেশীভয়েসে প্রকাশিত।
সেইদিন এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে দেখা। জিগ্যেস করলাম, কি আসছে না কি? বলল, সরাসরি তো আসবে না। কিন্তু সোজা আঙ্গুল দিয়ে কি ঘি উঠে? কিন্ত বাঁকা করলেই তো সবাই বুঝে ফেলবে। তবে গত ১৬ বছরে দেশে একটা গুনগত পরিবর্তন হয়েছে। লোকজনকে বারবার বোকা বানানো সম্ভব না। আর আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি তুলতে গেলে বাইরের দুনিয়ার লোভনীয় ঘিয়ের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন একজন সাংবাদিক উপকথার নায়কের মতো স্মরণীয় হয়ে আছেন। অসম্ভব সাহসিকতার সাথে তিনি রিপোর্ট করতেন। স্মরণ করি সাহসী সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দীনকে। সময়ের টানে সবকিছু নস্টদের হাতে গেলেও সবাই কিন্তু বিবেক বিকিয়ে দিবে না। সময় যে অনেক বদলে গেছে। এটা ভুলে গেলে বড্ডো বোকামী হয়ে যাবে। সংবাদ ও যোগাযোগ মাধ্যমে যে অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে তা মনে রাখা খুব জরুরী।
একই সাথে আড্ডা আর দেশীভয়েসে প্রকাশিত।
Wednesday, April 11, 2007
Subscribe to:
Posts (Atom)