Saturday, June 02, 2007

মহীউদ্দীন আপডেট

(একই সাথে আড্ডায়দেশীভয়েসে প্রকাশিত)
বঙ্গবন্ধুর অন্যতম হত্যাকারী মহীউদ্দীনের ডিপোর্টেশনের বিরুদ্ধে আপীল ক্যালিফোর্নিয়ার নবম সার্কিট কোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে মে মাসের ২৫ তারিখে। এই মুহুর্ত্বে যখন মার্কিন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে দেশে পাঠানোর কথা তখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য জোর তদবির চালানো হচ্ছে। বিচারে প্রমানিত খুনীর পক্ষে তদবির করছেন প্রাক্তন কানাডীয় মন্ত্রী। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আমার চোখে পড়েনি। সরকার খুনী অপরাধী মহীউদ্দীনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এই মুহুর্ত্বে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জানার অধিকার আমাদের সবার আছে।

এছাড়া, মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এটা স্পস্ট করে জানাবার দরকার যে প্রমানিত ঘাতককে ফেরত না পাঠালে এটা মার্কিনীদের জন্য বাজে নজির হয়ে থাকবে। কানাডার পত্রিকায় মহীউদ্দীনের কন্যার আকুল আবেদন ছাপানো হয়েছে। অথচ সরকার কি কানাডীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তাকে আশ্রয় না দেওয়ার জন্য। খুনী আর ঘাতক মহীউদ্দীনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দরকার এ ব্যাপারে ব্যাপক জনসংযোগ। এ ব্যাপারে রহস্যজনক নীরবতা কেবল প্রশ্নের জন্ম দিবে। এর অবসান ঘটাবে না। আশা করি, মহীউদ্দীনকে অনতিবিলম্বে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করে সরকার তার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিবে।

3 comments:

Unknown said...

মানুষ তার দেহ নিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকেনা। মানুষ অমর হয়ে থাকে তার আদর্শের জন্য। যদি ১৫ই আগষ্ট ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হত তাহলে তার স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য হয়ত তিনি আরও কিছুটা সময় পেতেন এবং জাতিকে আরও অনেক কিছু দিয়ে যেতে পাড়তেন। কিন্তু যা না হওয়ার তা নিয়ে আক্ষেপ করারও তো কিছু নেই। তবে তাঁর জীবদ্দশায় যা কিছু আমাদেরকে দিয়ে গেছেন তাও কিছু কম নয় এবং আমরা সবাই তা হৃদয়ে গেথে রেখেছি। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের হন্তারা যারা তারা এ দেশেই বীরদর্পে বিচরণ করছে, এমন কি অনেকে তাঁর কণ্যার আশেপাশেও ঘুরঘুর করছে। অতএব যাকে এনে সাস্তি দেয়ার মধ্যে জটিলতা আছে সেটাকে না ভেবে যারা হাতের কাছে আছে তারেদ সাস্তির কথা কেন আমরা ভাবছি না?

Addabaj said...

আপনার মন্তব্যটা বেশ মজার। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগে দলীয় অবস্থা বা অবস্থানের চেয়ে কি বঙ্গবন্ধুর ঘাতকের বিচার অনেক জরুরী নয়? কাজেই কে কি করল না বলে ঘাতকের বিচারের জন্য আপনি কতোটুকু সাহায্য করছেন তা নিজেকে জিজ্ঞেস করতে বলছি।

Unknown said...

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এ মুহুর্তে জরুরী নয়। কারণ বিচারের বাদী নিজেই এখন মহা সঙ্কটে। প্রথমে তাঁকে নিজেকে নিজের সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তারপর তাঁর অবস্থান তাঁকেই দৃঢ় করতে হবে। এরপর যা ঘটবে অর্থাৎ ব্যর্থতা বা সাফল্য সেটা হবে তাঁর নিজস্ব্য প্রাপ্তি। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর বিচার আর কোন দিনই হবে না, যদি সাফল্য লাভ করে তাহলে হয়তো হতে পারে। আপনি হয়তো বলবেন আমি আবার “হয়তো” শব্দটা কেন ব্যবহার করলাম। কারণ এ জন্য যে, তাঁর জীবনে সাফল্য এসেছিল কিন্তু তাঁর দূরদর্শিতার কারণে সে সুযোগ তিনি নিজেই হারিয়েছেন। শুধু জোসের বশবর্তি হয়ে জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আর সে রাজনীতির সর্বোচ্চ আসনে বসে যদি অদূরদর্শিতার পরিচয় দান করে তাহলে জাতি তাঁর দায় দ্বায়িত্ব কখনই বহন করবে না। জাতির প্রত্যাশা সর্বদায় “প্রাপ্তি”, যদি সে প্রাপ্তিতে সামান্যতম ব্যঘাত ঘটে জাতি সে নেতাকে অতি ঘৃণা ভরে আস্তাকুরে ছুড়ে ফেলে। এটায় নিয়ম, এর কোন অন্য সত্য নেই।

জাতির পিতার কণ্যা হয়ে তিনি নিজে পাঁচটি বছর ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসে যখন তাঁর পিতার বিচারের সাহায্য করতে পারেননি তখন আমার মত অধম জাতি হিসাবে জাতির পিতার বিচারের জন্য কতটুকু সাহায্য করতে পারি, শুধু ঐ ঘৃণ্য হন্তাদেরকে ঘৃণা করা ছাড়া। আর মাঝে মাঝে ঘৃণিত বাক্য ব্যবহারে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে দুই একটা ব্লগ লিখা ছাড়া। জানিনা আপনি সে গুলো পড়েছেন কিনা, মনে হয় কেউ তা পড়েন কি না তাতে সন্দেহ আছে। আসলে কার এত সময় আছে যে অকাজে সময় ব্যয় করে।