এই মাত্র খবর দেখলাম শেখ হাসিনাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হিসেব খুব সহজ। সকল দূর্নীতির হোতা জাতীয়তাবাদী দলের শীর্ষ নেতারা জেলে গেলেও খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনাকে দিয়ে গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু করায় নতুন করে হিসেব কষার সময় চলে এসেছে। প্রতিবাদ শুরু করতে হবে। গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন শেখ হাসিনা। কারণ, গ্রেফতারের এই নাটকীয় প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিউট্রালাইজ করার চেস্টা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্ম কিন্তু সেনা ছাউনিতে হয়নি। এর শেকড় রয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। বিএনপি বদলে হয়েছিল জাতীয় পার্টি। আবার জাতীয়তার ছাউনিতে ফিরে এসেছে। এখন আবার শুরু হয়েছে জাতীয় সরকারের জল্পনা কল্পনা। কিন্তু মানুষ কি আর এতোই বোকা? সামরিক শাসন বাংলাদেশে নতুন মোড়কে আনা অতো সোজা হবে না। জনগণ ঠিকই বুঝে। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মাধ্যমে জনগণ ঠিকই সমুচিত জবাব দেবে।
তাই দেরী করার আগেই বলুন, নিয়ন্ত্রিত ও সেনা ছাউনির প্রবর্তিত গণতন্ত্র চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে তার বাইরে রাজনীতির নতুন মোড়ক দেওয়ার চেস্টা প্রতিরোধ আমরা করব। খুলে দেব সকল ষড়যন্ত্রের মুখোশ। শুরু হোক প্রতিবাদ। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের এই দুর্দশার পেছনে সামরিক বাহিনীর অযাচিত হস্তক্ষেপ সবসময়ই মূল কারণ ছিল। তাই আজকের সংকটের জন্য তারা কি দায় এড়াতে পারবে? কিছুক্ষণ আগে মতিয়া চৌধুরী ঠিকই বলেছেন, সংস্কারবাদীদের কোণঠাসা ভাব থেকে উতক্রান্তির জন্যই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এটা যে তাদের হাঁটুতে নামা বুদ্ধির কারণেই হয়েছে তা কি আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হবে? শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বাধা আর লোক দেখানো হাস্যকর মামলার বহর দেখে তাদের বুদ্ধির তারিফ না করে কি পারা যায়? সাধু সাবধান। সামরিক বাহিনীর বিষক্রিয়া কি হয় তার উৎকৃস্ট উদাহরণ পাকিস্তান। বাংলাদেশে পাকিস্তানী নাটকের পুনরাবৃত্তির দরকার নেই। কারণ, বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়। তাই এখনই সমস্বরে বলুন: সামরিক ছাউনির নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চাই না। সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরুক। জনগণ ক্ষেপলে ক্ষমতালোভীদের কপালে ঝাঁটার আশীর্বাদ পড়বে। নব্বই ফিরবে ২০০৭-এ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment