Friday, December 29, 2006

History of Bangladesh

It's our great irony how the fundamentalist and war criminal collaborator Jamat-Shibir depicts the history of Bangladesh. Chattra Shibir, the student wing of Jamate Islami, recruits young children for Islamic movement. In most of chaotic political clashes these youngsters die when Jamat Shibir use their death for political gains. I don't think no other political parties in Bangladesh recruits youngsters as what Shibir does. It is a war crime in the guise of Islamic movement. In their web page, they teach our children about the glorious war of independence as a homicidal war. It does not even mention the name of Pakistan who denied the rights of Bangladeshis and who systematically massacred 3 million people over nine months.

Please read this excerpt from Shibir's webpage:

"BANGLADESH ISLAMI CHHATRO SHIBIR : 30 YEARS OF PRIDE
- ABU ZAFR MUHAMMAD OBAIDULLAH

The powerful position of student politics is a unique quality in the field of political practices in the subcontinent. Especially, in Bangladesh, the student organizations hold a historic and revolutionary importance. It is very natural that there are variations in principles and ideologies, vision of the action and work policies between the political parties. These parties have been developed under different principles as well as student organizations are embodied with different parties following the natural differences.

Bangladesh is bearing the student organizations since the Pakistan period. Some other institutes are also developed after the liberation war. Bangladesh Islami Chhatro Shibir is an illuminated name, established in the independent Bangladesh, free from biased sycophancy. It is an independent edification center. Starting their vocation from the central jam-e-masjid of Dhaka University during February 6, 1977, this organization has compiled a glorious history after exceeding a successive 30 years. Bangladesh Islami Chhatro Shibir has established an imperishable honour in the heart of crore of young men and among the general people as a constructive, fast rising democratic institute, as an educational academy - sole and distinctive, and as a workshop to generate human beings.

The history of Bangladesh Islami Chhatro Shibir, during the last 30 years, can be considered from different point of views. It can be evaluated under the socio-economical, political and cultural circumstances of a developing country as Bangladesh. Again, the evaluation can be made in accordance with the fact that ours is the fourth largest country in the world, inhabited by Muslims. The history of past three decades of its origination, surely deserves a sensible, unbiased and precise consideration.

The Inevitable Realities During The Revelation of Shibir

As no historic incident takes place without a backdrop, such no organization generates without demands. The establishment of Bangladesh Islami Chhatro Shibir was an inevitable demand of the time. The entire socio-economical, religious, political and cultural milieu of Bangladesh intensified the need of the establishment of Shibir.

A. Post-independent Bangladesh
The war of independence in Bangladesh ended on December 16, 1971. The people - longing for freedom, won victory after a nine month long homicidal war. But regrettably enough, even with the achievement of a free country, a geographical boundary, a national flag - we failed to win true independence.

India, the neighbouring country who lend a helping hand during the liberation war, immediately started asserting dominance over us. Our precious resources trespassed through the border. M. a. Zalil, one of the sector commanders during the war, became the first political prisoner as he took a stand against these issues. Within a very short period, economical disaster, instability in politics and vacancy in culture occupied the country. The freedom of the nation soon transformed into subjugation due to the utter anarchy....."

Tuesday, December 26, 2006

বন্ধুর কাছে চিঠি

২৫ ডিসেম্বর, ২০০৬

শ্রদ্ধেয় ....

ক’দিন আগে আপনার চিঠি পেলাম। খুব ভালো লাগল। আপনার চিঠি পড়ে মনে হলো আপনি একেবারে মুখোমুখি কথা বলছেন। এতো বছরে আপনার এতোটুকু পরিবর্তন হলো না। সেই আগের মতো আড্ডা। কঠিন কথাগুলো সহজভাবে বলার অদ্ভুত ক্ষমতা। খুব মিস করি সেদিনের আড্ডাগুলো। সময় যে এতো দ্রুত পার হয়ে যায়, তা আপনার চিঠি না পড়লে মনেই হতো না। বড্ডো নস্টালজিয়ায় ভুগি। সবই নিয়তি। জীবনের প্রয়োজনে আজ এতোদূরে আমাদের অবস্থান। চাইলেও দেখা হওয়া সম্ভব না। আমাদের দু’জনকে দুদিক ছুটতে হলো। তারপরেও আপনার চিঠি পড়লে মনে হয়, এই তো আমরা এখনও আছি কাছাকাছি। সময় আর দুরত্বের সকল ব্যবধানকে ফাকি দিয়ে। আজকাল তো কেউ চিঠি লেখে না। সময় কোথায়? ধৈর্য কোথায়? তাই আপনার চিঠি পেয়ে মনে হলো, না এখনও কিছু মানুষ আছে যারা চিঠির পাতায় স্মৃতির কথা, ভালো লাগা আর খারাপ লাগার কথা তুলে ধরতে আনন্দ পান।

আমার কথা? নতুন কোন খবর নেই। অফিসে যাওয়া বিকেলে বাড়ীতে ফেরা আর বাগানের পরিচর্চা করা নিয়মিত কাজ। সেই বাগানটা যেখান রক্তজবা আর আপনার প্রিয় গোলাপ ছিল তা এখনও আছে। শীতের শিশির ভেজা সকালে আর গোধুলি লগ্নে এখনো তারা প্রস্ফুটিত হয়ে খাকে অনাগত ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আপনাকে আগেও বলছি আর এখন আরেকবার বলছি হতাশা আমার নয়। কস্টের মুহুত্তে আর আনন্দের সময় এখনো বলতে মনে চায় আমি চিরকালই আশার আবাদ করি। হতাশায় আমার বসবাস নয়। আগের মতো রাগ করি কি না। না, আজকাল একেবারেই রাগ করি না। সবকিছুই নিয়তির হাতে জমা দিয়ে দিয়েছি। তাই চারদিক তাকিয়ে এখন আর কস্ট পাই না। প্রতিবাদী হই না। মিছিলে যাই না। বারবার ভাবি এমনই হওয়ার কথা বোধ হয় ছিল। এই জীবনের স্বপ্ন আর দেশের স্বপ্ন সবই হোচট খায় প্রতারিত বাস্তবতার কাছে। না হলে আমাদের স্বপ্নগুলো কেন দু:স্বপ্নে পরিণত হলো? অমাবস্যার রাত কি সকালের দেখা পাবে না?

আপনার বাসার সবাইকে শুভেচ্ছা দিবেন। সময় পেলে একসময় বেড়াতে আসব। কবে কথা দিতে পারছি না। সময় সুযোগ পেলে চলে আসুন আমাদের এদিকে। ভাল লাগবে কথা দিচ্ছি। ঘন্টার পর ঘন্টার আড্ডা হবে যতক্ষণ না বাসার ভেতর থেকে তাড়া আসে। বেশ কিছু ছবি পাঠালাম। আশা করি ভাল লাগবে। কথা হবে। নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা দিয়ে আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

শুভেচ্ছান্তে,
আপনার ভক্ত ......

Tuesday, December 19, 2006

জামাতী বান্দরদের তপস্যা

বানরকে যাই বলুন না কেন, সে মুখ ভেংচে যাবেই। এটা হচ্ছে এর জন্মগত চরিএ। ক্ষমতার কলার মোহে রাজাকার জামাতীরা ধর্মকলা বেচে বানরীয় জীবন নির্বাহ করে। ধর্মের নাম দিয়ে এরা যোগ দিয়েছিল ৭১এর গণহত্যায়। হানাদার বাহিনীর দোসর রাজকার আল বদর জামাতী ও তাদের ঔরসজাতরা তাই বারবার চেস্টা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হালকা করে তাদের অপরাধবোধ থেকে নিস্কৃতি পেতে। কিন্তু তা কি সম্ভব? এরা কখনও ভাবে না, ৭১ সালের পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা যদি কচুকাটা শুরু করতো তাহলে এদের অনেকেরই পৃথিবীর আলো দেখা সম্ভব হতো না। সম্ভব হতো না ধর্মভিওিক রাজনীতির যুক্তিহীন উন্মাদনা ছড়ানো।

বারবার প্রশ্ন করা হলেও জামাতী বান্দর ও তাদের ঔরসজাতরা একবারও বলতে পারবে না, ৭১এ তাদের ঘৃণ্য কাজগুলোর জন্য তারা দু:খিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। সামরিক জিয়া যে রাজাকাদের জন্য যে দুয়ার খুলে দিয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় মৌলবাদী রাজকারদের বিস্ফোরণ ম্যালথুসীয় সূএকেও হার মানিয়েছে। আওয়ামী লীগ কি করেছে আর করেনি, তার বন্দনা করে তারা আনন্দ ও তৃপ্তি পায়। একবারও ভাবে না, আওয়ামী লীগ থাকা অবস্খায় এদেশে কোন রাজাকার পূনর্বাসন পায়নি। সম্ভব হয়েছে বংগবন্ধুর হত্যার পর পরই। মৌলবাদী রাজাকার জামাতী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার। দরকার ৭১'এর ছবি ও চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানদের জায়গা বাংলার মাটিতে কখনও হবে না। আগে পরে তাদেরকে পাকিস্তানের মাটিতে হিজররত করে রিফিউজী হিসেবে ক্যাম্পবাসী হতে হবে। এদেরকে চিহ্নিত করে রাখুন, পরিচয় করিয়ে দিন সবাইকে এদের বাপ-চাচাদের ৭১'এর কুকীর্তির সাথে। সামাজিকভাবে এদের বয়কট করুন। একাওরের হাতিয়ার যে আরেকবার গর্জে উঠবে এ আমি নিশ্চিত। জামাতী বান্দররা ক্ষমতার কলা শরীরে ধারণ করে সাময়িক তৃপ্তি পেতে পারে, কিন্তু নিস্কৃতি না।

Monday, December 18, 2006

রক্তাত্ত্ব বাংলাদেশ: জামাত শিবিরের আগ্রাসন

বাংলাদেশের ইতিহাসে মৌলবাদীদের উত্থান এতোটা প্রবল আগে কখনো হয়নি। গত পাঁচ বছরে জামাত শিবিরের আগ্রাসন রক্তাত্ত করেছে ঢাকাসহ সারা দেশের জনপদ। মৌলবাদী জামাতীদের উপর এই ভিডিওটি দেখতে অনুরোধ জানাচ্ছি। নিজের চোখে জামাত শিবিরের এই সন্ত্রাস দেখে কোন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে না। তাই, বিবেকবান মানুষদের এগিয়ে আসা উচিত মৌলবাদী জামাতীদেরকে প্রতিহত ও নিষিদ্ধ করতে। নিজের চোখে দেখুন রাজাকার জামাতীদের সন্ত্রাস। ভেবে দেখুন আপনি কি করেছেন জামাতী সন্ত্রাসীদেরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত ও নিষিদ্ধ করতে। এই ভিডিওটি অত্যন্ত গ্রাফিক। দয়া করে ছোটদেরকে এই রক্তাত্ত ভিডিও দেখানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি। দেখুন ভিডিওটি এবং বলুন জামাত শিবির প্রতিহত করতে আপনি কি করেছেন? প্রচার করুন এই লেখা। মৌলবাদী জামাতীদের প্রতিহত করতে জনমত গড়ে তুলুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করতে ও জামাত শিবির নিষিদ্ধ করতে এর চেয়ে বড়ো কোন ভুমিকা হতে পারে না।

রাজাকারদের ব্যাধির নিরাময়

অসুস্থ লোকের সাথে রাগ করা সুস্থ মানুষের জন্য সাজে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৩৫ বছর পর রাজাকার-আলবদর ও তাদের ছানাপোনাদের মনোদৈহিক ব্যাধি আরও ক্রনিক আকার ধারণ করবে তা আর বিচিএ কি? স্বাধীনতার যুদ্ধে তিরিশ লাখ লোক প্রাণ দিল আর তার বিনিময়ে রাজাকার-জামাতীরা ইসলামের পসরা সেজে জাতীয়তাবাদীদের ঘাড়ে শাখামৃগের মতো আরোহন করে দেশরার মায়াকান্না দিয়ে যাচ্ছে। কখনও একবারও শুনবেন না এদের মুখ থেকে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমাদের জামাতী বাবা চাচারা যখন তারা এদেশের মা-বোনকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পায়ে ইয়ানত হিসেবে তুলে দিয়েছিল। নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল নিরপরাধ মানুষদের। কোন অনুশোচনা নেই এই পশুপোষ্যদের মুখে। কি ভয়াবহ নির্বিকার অনুভূতি। কি নির্লজ্জতা।

গতকাল বাস কন্ডাক্টর মান্নান ভুইয়াও মায়াকান্না দিচ্ছিলেন, ৩৫ বছর পরও বুদ্ধিজীবি হত্যাকারীদের কোন বিচার হলো না। আহারে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীরা!!! জিয়ার সামরিক সরকার বৈধতার সন্ধানে ইসলামী জাতীয়তাবাদী থিওরী প্রবর্তন করে তার সুবাদে সকল নিমকহারাম রাজাকাররাও হয়ে গেল দেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদী । পূনর্বাসিত হলো তারা। তারা কোন জনমে কোন অপরাধ করেছিল না কি? ইতিহাস বিকৃতির উতসব চলছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রান্তিকীকরণ চলছে। হালকা করে দিতে চায় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস। তাই, এসব রাজাকারদের ব্যাধির নিরাময় করার দরকার। দরকার আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের। সকল নিমকহারাম রাজাকার ও তাদের পোষ্যদের নিপাত না হওয়া পর্যন্ত চলুক আরেকটি যুদ্ধ। শুরু হোক তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে তাদের আসল চেহারা তুলে ধরার। বিজয় দিবসের সকালে তাই আনন্দ নয়, উতসব নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত নতুন প্রজন্মের নবজাগৃতি চাই। জাগৃতি চাই তাদের ভাবনায়, লেখায় আর কাজে। সেই প্রার্থনায় বিদায়।

এবার রাস্ট্রপতির ছেলে:


কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব। রাস্ট্রপতির ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ গ্যাস স্টেশন তৈরী করছেন বিমান বন্দরে সরকারী জায়গা দখল করে। প্রথম আলো ডিসেম্বর ১৮ তারিখে জানাচ্ছে, সিভিল এভিয়েশন অথরিটির আপত্তির মুখেই প্রভাব খাটিয়ে এই জমি বেদখল করা হয়েছে। এই জমি দখল করার কারণে প্রস্তাবিত ফ্লাই ওভারের কাজ নিমার্ণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত পড়ে দেখুন এখানে।

Sunday, December 17, 2006

আড্ডায় বিজয় উত্‍সব

অনেকদিন পর খুব চুটিয়ে আড্ডা হলো৷ বিজয় দিবসের আড্ডায় যাদেরকে নিমন্ত্রণ করেছি মোটামুটি তারা সবাই এসেছেন৷ সবার সাথে পরিচয়ের পর পরই তাদের কথা বিশদভাবে বলব৷ দুপুরে চারটার দিকে চলে আসলেন কৌশিক৷ দরজা না খোলা পর্যন্ত দরজার কলিং বেলের বোতামে হাত দিয়ে রেখেছিলেন কৌশিক৷ এতোটা আগেভাগে তাকে দেখে আমি একটু তাজ্জব হলাম৷ দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে বলল, "তাড়াতাড়ি চলে এলাম, আপনার যদি কোন সাহায্য লাগে"৷ আমি আশ্বস্ত করে বললাম, ভাল করেছেন আগেভাগে এসে৷ ঢুকেই হলওয়েতে স্মৃতিসৌধের বিশাল ছবিটা দেখে এক দৃস্টিতে তাকিয়ে বিষন্ন হয়ে পড়ে সম্ভবত: দু'একটা খিস্তি এক অদৃশ্য শত্রুর দিকে ছুঁড়ে মারল৷

বাঙ্গালীর সবকিছুতে একটু দেরীতে আসার আর একটু দেরীতে উঠবার বাতিক আছে৷ তাই দু'ঘন্টা আগে উপস্থিত কৌশিককে দেখে বেশ হাসি টেনে বললাম, "ভালই হলো, আড্ডার আয়ু দু'ঘন্টা বাড়ল"৷ কিন্তু ঘরে ঢুকেই কৌশিক ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠল টিভির রিমোটের সন্ধানে৷ কৌশিক জানালো জিটিভিতে কি একটা এপিসোডের শেষ অংশটা না দেখলে তার চলবে না৷ তার সাহায্যের ধরণে আমিও খুশী না হয়ে পারলাম না৷

তার কিছুণ পরই চলে আসলেন শুভ৷ অমি মোবাইলে জানিয়ে দিল নতুন ওয়েবসাইট জন্মযুদ্ধের একটা সিডি খুঁজে পাচ্ছে না৷ ওটা এক জায়গায় পৌঁছে দিয়ে সে চলে আসবে৷ তার কিছুণ পর আসলেন কবি জলিল ও কালপুরুষ৷ তারা একসাথেই হয়তো কাওকে নামিয়ে দিয়ে এসেছেন৷ একটা ব্যাপারে দু জনেই একমত যে, বউ পাশে না থাকলে অনেককেই বিপদ আপদে রাইড দেয়া যায়৷ আমি মুখে হাসি টেনে সম্মতি দিলাম৷

তার কিছুণ পরই এসে যোগ দিলেন রসময় হিমু ও মুখফোঁড়৷ হিমুর হাতে ছোট একটা এমপি ফোর৷ মুখফোঁড় ওটা বাগাবার চেস্টা করছে৷ হিমু তার হাতের শেষ সম্বল ছাড়তে নারাজ৷ খালি বলে, "আমার হাতেই জিনিসটা তোমাকে দেখতে হবে"৷ টানা ড্রইং রুমের অন্ধকার ঘুপচির মধ্যে বসল এরা দু'জন৷ আমিও কৌতুহুলী হয়ে উঠলাম কি করছে এরা দু'জন এই এমপি ফোর নামের ছাকানাকা নিয়ে৷ কিন্তু কাছাকাছি গেলেই এরা বিবাদ বন্ধ করে বলে, "সিস্টেম কাজ করছে না৷ ভিডিওটা দেখা যাচ্ছে না"৷ এক পর্যায়ে জিগ্যেস করতে বাধ্য হলাম, "কি দেখছো তোমরা"? হিমুর মুখে লেপ্টে আছে রহস্যময় কামড়ানো হাসি৷ "হিমু পুরনো হিন্দী মুভির লামহে'র গান ডাউনলোড করেছে" এক রাশ রহস্য মেখে মুখফোঁড় তথ্যটা দিল৷ কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভোটার লিস্টের মতো এতো রহস্য কেন তা বুঝলাম না৷ কে জানে?

তার কিছুণ পর পরই তীরন্দাজ, সুমন চৌধুরী ও ধুসর এসে হাজির৷ দীর্ঘ ভ্রমনে তাদেরকে কান্ত মনে হলেও বেশ উচ্ছল ও উওেজিত মনে হচ্ছিল৷ এতো ব্লগারদের একসাথে দেখা হবে এটা চিন্তাও করেননি তারা৷ সুমন কিছুণ পর পরই বলছেন, "ইজি যেতে হবে, ইজি যেতে হবে"৷ বুঝলাম, কমরেড দীর্ঘ সফরে কান্ত পোড় খাওয়া মানুষ৷ একসময় যুদ্ধে যেতেন৷ এখন ইজি পদ্ধতিতে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চান৷ ছয়টা বাজার ঠিক এক মিনিট আগে একেবারে বৃটিশ কায়দায় হাজির হলেন শোহেইল, হাসান, হাসান (মোরশেদ), মাসুদা ভাট্রি ও মহুয়া মঞ্জুরী৷ শোমচৌকে দেখে কে যেন পাশ থেকে প্রয়াত হীরকের নাম ধরে ডাকল৷ কি আশ্চর্য৷ হীরকের হোমোসাইডের ব্যাপারে শোমচৌ'র একটা হাত আছে বলে লন্ডনীয় গুজবটা রং চং মেখে এখনও চলছে৷ তবে হীরকের মৃতু্যর জন্য তার অতি জনপ্রিয়তা দায়ী এটা কিন্ত অনেকেই বুঝতে চান না৷ রবীন্দ্রনাথও কিন্তু লাবণ্যকে পাওয়ার জন্য উচ্ছল অমিতের ভালবাসার কবর দিয়েছিলেন এটা ক'জনে জানে?

সবার শেষে চলে আসলেন সাদিক, অরূপ, মাশীদ, ও গোপাল৷ অরূপ বিলম্বের জন্য সাদিককে দোষারোপ করা মাএই সাদিক হাসিমুখে মেনে নিলেন৷ তবুও একবারের জন্যও সাদিক ফাঁস করে দিলেন না অরূপ-মাশীদের টাইম ম্যানেজমেন্টের সমস্যার কথা৷ যে কারণে তাদের আসতে দেরী হলো৷ শেষ আওয়াজটার সাথে ঘরে ঢুকলেন সাধক৷ সবাই স্বাগত জানাল সাধককে৷ অনেকে তার হাতের দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে রইলেন৷ না, একদম খালি হাতে সাধকের আগমন৷ তার একটু পরেই হন্তদন্ত হয়ে ঢুকল অমি৷ সাথে জামাল ভাস্কর৷ অমি বলল, "বস্, সরি একটু দেরী হয়ে গেল"৷ পরে শুনলাম, বেচারারা আজিজ মার্কেটে ছিল, অস্ট ডট রাসেলকে আনতে গিয়েই দেরী৷ রাসেল সাফ বলে দিয়েছে সে আসতে পারবে না৷ কি একটা তার্কিক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত৷

বিশাল ড্রইং রুমে সবাই নিজেদের মতো বসে গেছেন৷ কালপুরুষ, জলিল ও তীরন্দাজ কবিতা নিয়ে আলোচনা করছেন৷ কবিতার পরিশীলিত উওরাধুনিক ভাবনায় দেখলাম অন্যদের তেমন কোন আগ্রহ বা মনোযোগ নেই৷ সাদিক সুমনের পাশে বসে এখনও কাসেল ভ্রমনের স্মৃতির জাবর কাটছেন৷ মাশীদ, মাসুদা, ও মহুয়া জটলা করে কি নিয়ে কথা বলছেন তা বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে উল্টো দিকে সবাই সাধককে ঘিরে বিভিন্ন সাধ্য সাধনার কথা বলে যাচ্ছে ৷ সেখানে হিমুও আছে৷ কিন্তু হিমু সেখানে বসে থাকলেও তার চোখ পড়ে আছে মহুয়ার দিকে৷ ব্যাপারটা দেখেও আমি না দেখার ভান করলাম৷ শুধু হিমুই বুঝল আমি কি বুঝেছি৷

এতো কোলাহলের মধ্যেও অরূপ ঠিকই কম্পিউটারের সামনে বসে কি যেন গুতাগুতি করছে৷ এক সময় বেশ চড়া গলায় বলল, মেসেঞ্জারে অপ বাক, উত্‍স ও এস এম এম মুর্শেদ এখানকার আড্ডা খুব মিস করছেন বলে খবর পাঠিয়েছেন৷ এস এম মুর্শেদ অবশ্য খুব বিপাকে পড়ে আছেন৷ ভদ্রলোক ব্লগিং ব্যবসার চীট কোড তার ব্লগে বসিয়ে অনেকের ব্যবসার বারোটা বাজিয়েছে বলে বেশ হুমকি ধামকি খাচ্ছেন৷ ভাগ্যিস আগেই আটলান্টিকের ওপারে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ খারাপ খবর শুধু একটাই৷ বিশিস্ট ব্লগার হযবরল অতিরিক্ত স্পীডে গাড়ী ড্রাইভ করতে গিয়ে আবারও ফেয়ারফ্যাঙ্ পুলিশ কতর্ৃট ধৃত হয়ে বেশ নাকানিচুবানি খেয়েছেন৷ অরূপ খবরটা আমাকে দিয়েই আবারও কম্পিউটারটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন৷ দাওয়াতে এসে যে কম্পিউটার নিয়ে এই ব্যস্ততা বাড়াবাড়ি তা অরূপের কাছে মনেই হচ্ছে না৷ আসলেই যার যেটার অভাব সে সেটা থেকে মুক্তি পাবে কি করে?

ইতিমধ্যে ডালপুড়ি আর চা দু'বার দেয়া হয়েছে৷ অতি আলোচনায় যারা ব্যস্ত তারা কিছুই টানছেন না দেখে সুমন, ধুসর ও মুখফোঁড় তার সদ্ব্যবহার করে যাচ্ছেন৷ সবাই তাদের হাতের লেখাগুলোর উপর চোখ বুলাচ্ছেন৷ খাওয়ার পর পরই একটা ছোট উপস্থাপনা আছে৷ এতে কেউ কবিতা, কেউ গল্প আর কেউ বক্তৃতা দেবেন৷ আড্ডার নিমন্ত্রনে কথা কিন্তু এরকমই ছিল৷ এমন সময় কলিং বেল বাজা দেখে আমি গেলাম৷ দরজা খুলেই খুব জোরে চীত্‍কার করে বললাম, চোর!!! আমার চীত্‍কার শুনে কৌশিক আর অরূপ কোত্থেকে বেজবল ব্যাট নিয়ে হাজির৷ কে জানে কি ভেবেছিলেন তারা? বানরের উপদ্রব কমলেও একেবারে যে যায়নি৷ এধরণের একটা আশঙ্কায় যে তারা অবচেতন মনেই হাতে ব্যাট তুলে নিয়েছেন৷ যখন পরিচয় করিয়ে দিলাম, "এই চোর সেই চোর না৷ এই চোর হচ্ছে আমাদের ব্লগের সেরা কমেন্টার চোর"৷ হাতের ব্যাট ফেলে চোরকে জাবরে ধরে ড্রইং রুমে নিয়ে আসল অরূপ আর কৌশিক৷ শুরু করল তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার৷

এই মুহুত্তের্্ব আমার মনের মধ্যে একটা অপরাধবোধ হাঁটছিল, কথা দিয়েছিলাম সেরা কমেন্টার চোরকে "চোর" বলে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেব না৷ আমার ভুলের জন্য নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল৷ এই মুহুত্তের ড্রইং রুমে বসে থাকা সবার কাছে নিজের ভুল ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা চাইতে মন চাচ্ছে৷ ডাইনিং রুমের দিকে তাকিয়ে দেখি গরম খিঁচুরী ও ভুনা মাংস সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আলাপচারিতায় মগ্ন সবাইকে পরবতী এপিসোডের জন্য কিভাবে ডাকব ভাবতে ভাবতে আমি এগোচ্ছি... (ক্রমশ..............অপেক্ষায় থাকুন, দেখা হবে পরের এপিসোডে)৷

আড্ডা এবার ইউনিকোডে


স্বাগত। ইউনিকোডে দেখা হবে এবার। সামহোয়্যার ইন-এ ঠিক একবছর পর শুরু করলাম আড্ডা এবার ইউনিকোডে। কারণ, খুব স্পস্ট। যারা সামহোয়্যার ইন-এর বাইরে ব্লগকে তুলে ধরতে চান, ব্লগস্পট হচ্ছে একটা চমত্‍কার জায়গা। তাই, শুরু হলো ইউনিকোডে আড্ডার যাত্রা। যারা নিয়মিত আড্ডার পাঠক তারা প্রতিনিয়ত দেখতে পাবেন আমার লেখা। সময় পেলেই চলে আসুন এখানে।