অসুস্থ লোকের সাথে রাগ করা সুস্থ মানুষের জন্য সাজে না। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৩৫ বছর পর রাজাকার-আলবদর ও তাদের ছানাপোনাদের মনোদৈহিক ব্যাধি আরও ক্রনিক আকার ধারণ করবে তা আর বিচিএ কি? স্বাধীনতার যুদ্ধে তিরিশ লাখ লোক প্রাণ দিল আর তার বিনিময়ে রাজাকার-জামাতীরা ইসলামের পসরা সেজে জাতীয়তাবাদীদের ঘাড়ে শাখামৃগের মতো আরোহন করে দেশরার মায়াকান্না দিয়ে যাচ্ছে। কখনও একবারও শুনবেন না এদের মুখ থেকে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমাদের জামাতী বাবা চাচারা যখন তারা এদেশের মা-বোনকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পায়ে ইয়ানত হিসেবে তুলে দিয়েছিল। নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল নিরপরাধ মানুষদের। কোন অনুশোচনা নেই এই পশুপোষ্যদের মুখে। কি ভয়াবহ নির্বিকার অনুভূতি। কি নির্লজ্জতা।
গতকাল বাস কন্ডাক্টর মান্নান ভুইয়াও মায়াকান্না দিচ্ছিলেন, ৩৫ বছর পরও বুদ্ধিজীবি হত্যাকারীদের কোন বিচার হলো না। আহারে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীরা!!! জিয়ার সামরিক সরকার বৈধতার সন্ধানে ইসলামী জাতীয়তাবাদী থিওরী প্রবর্তন করে তার সুবাদে সকল নিমকহারাম রাজাকাররাও হয়ে গেল দেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদী । পূনর্বাসিত হলো তারা। তারা কোন জনমে কোন অপরাধ করেছিল না কি? ইতিহাস বিকৃতির উতসব চলছে। মুক্তিযুদ্ধকে প্রান্তিকীকরণ চলছে। হালকা করে দিতে চায় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস। তাই, এসব রাজাকারদের ব্যাধির নিরাময় করার দরকার। দরকার আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের। সকল নিমকহারাম রাজাকার ও তাদের পোষ্যদের নিপাত না হওয়া পর্যন্ত চলুক আরেকটি যুদ্ধ। শুরু হোক তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে তাদের আসল চেহারা তুলে ধরার। বিজয় দিবসের সকালে তাই আনন্দ নয়, উতসব নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত নতুন প্রজন্মের নবজাগৃতি চাই। জাগৃতি চাই তাদের ভাবনায়, লেখায় আর কাজে। সেই প্রার্থনায় বিদায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment