ব্লগের অবস্থা যাচ্ছে তাই। নোংরামি চলছে। ইচ্ছে মতো নিক নেইম নিয়ে পোস্ট চলছে। এক ধরণের অসুস্থতা ও অপরিচ্ছন্নতার ছড়িয়ে সুস্থ মননকে নির্বাসনের অপচেস্টা চলছে। নেপথ্যের কারণ বের করার কোন ইচ্ছে বা রুচি আমার নেই। তবে অপচেস্টা যে খুব ইচ্ছাকৃত ও সুপরিকল্পিত তা স্পস্ট হয়ে উঠছে। এর প্রতিকার নিয়ে নির্বিকার ও নিরাসক্ত মনোভাব বেশ রহস্যজনক ও আপওিকর। যারা নিয়মিত আড্ডা পড়েন তাদেরকে অনুরোধ জানাব আমার ইউনিকোড বাংলা ব্লগে গিয়ে পড়তে। আমি চেস্টা করব আড্ডার পোস্ট ব্লগস্পটে একইসাথে প্রকাশ করতে।
আপনাদের জন্য আড্ডার ঠিকানা হচ্ছে: ইউনিআড্ডা
তবে নেকড়ের গল্প ফেঁদে আপাতত সুবোধ ও অবোধ নিরীহ হরিণ শিকার করার কোন ইচ্ছে আমার নেই। পর্দার আড়ালে থাকা অনেক ব্লগারদের অবস্থানটা ঝোপের আড়ালে নেকড়ের চেয়ে যে কম হিংস্র নয় তা আচরণে আর গর্জনে বেশ দৃশ্যমান হয়ে উঠে। আকেলমন্দদের জন্য ইশারাই যথেস্ট। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নামে ইচ্ছেমতো মডারেশনের একটা সুপ্ত খায়েশ অনেকের নাফসকে বেশ নাড়া দিয়ে থাকতে পারে। অন্তত: নোংরামী ছড়িয়েও যদি তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়। অনেকে যে এখানে ব্লগকে নিজস্ব আদর্শ ও অন্ধত্ব প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন এবং সেই ল্েয একচ্ছএ আধিপত্য বজায় রাখার অপকৌশল হিসেব স্ক্যায়ার ট্যাকটিক ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠছেন তাও বেশ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। বালসুলভ প্রগলভতায় যে দূরদর্শিতা ও বুদ্ধিমওার ছাপ থাকে না এবং এটা যে বেশ হাস্যকর হয়ে উঠে তা ইনিয়ে বিনিয়ে বলার দরকার নেই।
অনেকেই এখানে বিশেষ ফোরাম তৈরী করে নিজস্ব জনপ্রিয়তা ও রাস্তার দাঙ্গাবাজি ছড়াতে চাচ্ছে তা খুব স্পস্ট। অনেক দিন আগে এক সিনিয়র ভাইকে বললাম ব্লগে আসতে। তার অভিজ্ঞতা যে সুখপ্রদ ছিল না তা পরে জানতে পারলাম। তিনি জানালেন এগুলো তো টীন এজারদের বাঁদরামির জায়গা। সিরিয়াস লেখার চেয়ে গালাগালি আর মৌলবাদীদের আখড়া। কথা যে একেবারে মিথ্যে তা নয়। অনেকেই তাদের রাজনৈতিক মিশনের অফিসের মতো ২৪ ঘন্টা পাহারা দিয়ে বসে থাকেন তারা কি করেন আমার জানার দরকার নেই। কিন্তু তার ফলাফল যে নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে ত বোঝা খুবই কস্টকর নয়। এখানে যারা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখেন তাদের লেখাগুলো চাপা দিলে অনেকের মিশন হয়তো একটু সহজতর হয়ে পড়ে। এধরণের দিবাস্বপ্ন যারা দেখছেন তাদেরকে ভীষণভাবে হতাশ হতে হবে।
বাংলা ব্লগের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা এর লেখার বৈচিএ্যে ও ভাবনার বৈপরীত্যে। একে একমূখী করে খুব একটা অর্জন না হলেও বিটিভি’র নতুন সংস্করণ হিসেবে ব্লগ জগতে এর বিস্তৃতিতে অনেকে কামিয়াবী কামিয়াবী বলে চীৎকার করতে পারেন। বিকারগ্রস্থ মানুষদের বিকৃতির শেষ নেই। আর তাকে উৎসাহ আর বাহবা দেওয়ার লোকেরও অভাব দেখি না। নোংরা জিনিসে মন্তব্য দিয়ে একে প্রথম পাতায় স্থান করে দিয়ে অনেকে বেশ আনন্দ পান। বিকৃতির পেছনে অন্ধ প্রবৃওি কাজ করে। কাজ করে পেছনে হাঁটার চেস্টা। যারা সত্যের মুখোমুখি হতে খুব ভয় পান তারা আড়ালে আবডালে থেকে ডাল পালা নাড়া দিয়ে তৃপ্তি পেতে চান। আজকাল প্রত্যাশার সীমান্ত খুব সংকুচিত। কারণ, অনেক নীরবতা সম্মতির প্রচ্ছন্ন প্রকাশ। হয়তো এর সমান্তরালে রয়েছে পৃষ্ঠপোষকতা। কারণ বজ্রপাতে যখন কুম্ভনিদ্রা ভাঙ্গে না, তখন তা ইচ্ছেকৃত বললে কি খুব ভুল বলা হয়?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment