বিএনপি জামাত জোট নির্বাচন কমিশন ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে দলীয়করণ করেছে মতার প্রথম দিক থেকে। বিএনপি জোট প্রথম থেকেই নির্বাচনকে নিজেদের মতো সাজাতে গিয়ে এর স্বচ্ছতা ও নির্দলীয় চরিএকে ুন্ন করেছে। আওয়ামী লীগেরে নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট প্রথম থেকে আজিজ আর হাসান নিয়ে যে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তাকে কূটকৌশলে সময় পেনের মাধ্যমে সংকটটি তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মাথায় চাপিয়ে দিয়ে মতা থেকে সরে দাঁড়ায়। অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে যে অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারালেন তার মূল কারণ বিএনপি-জামাত জোটের রাজনৈতিক ধান্ধাবাজি। রাজনৈতিক সংকট ও অচলাবস্থাকে একটি বিপজ্জনক মোড় নেয় যখন বিচার বিভাগে বিএনপি’র রাজনৈতিক প্রভাব স্পস্ট হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনার পরম্পরা বিএনপি’র রাজনৈতিক প্রভাবকে খুব স্পস্ট করে দেয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট রাজনৈতিক কূটকৌশলে যে বেশ কয়েকবার ধরাশায়ী হয়েছে তা খুব সহজেই বোঝা যায়। বিএনপি জোট যখন নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আওয়ামী লীগ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের নিরপেতার জন্য ব্যস্ত। কিন্তু এর ফলাফল বিএনপি যেভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে গোলায় ধান তুলবে তা ভেস্তে যাওয়াতে একটু বেকায়দায় পড়ে আছে। নির্বাচন যতো বিলম্বিত হবে তাতে সাংবিধানিক সংকটের চেয়ে বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নির্বাচনী ব্যয় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে তা সবাই জানে। বিএনপি ছলে বলে কৌশলে নির্বাচনী বৈতরণী পার পাবে এবং প্রয়োজনে জামাতকে বিরোধী দলে অলঙ্কৃত করবে সেই কৌশল এখন বেশ স্পস্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপি’র এই একগুঁয়েমীর মাশুল আগেও দিয়েছে এবং এবার আরও মারাত্মকভাবে দিবে তা দেখার জন্য বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
(চলবে- বাকী অংশ আসছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। এর পরের অংশে থাকবে রাজনৈতিক দরকষাকষিতে কে জিতল কে হারল। নির্বাচনে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা কি হবে? আওয়ামী লীগ কি ঠিক পথে যাচ্ছে? রাজনীতিতে কি মেরুকরণ স্পস্ট হচ্ছে---অপেক্ষা করুন)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment